বিডিনিউজ ১০ রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগকে আরও গতিশীল করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের সময় খুব কম। সামনে যুবলীগের কংগ্রেস। সুষ্ঠুভাবে কংগ্রেস করতে তিনি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক এবং হারুনুর রশিদকে সদস্য সচিব করে কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটি হয়েছে। এ কমিটিতে যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা সদস্য হিসেবে আছেন। নতুন কমিটিতে নেতাদের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ বছর।
এর চেয়ে বেশি বয়সের কেউ যুবলীগে থাকতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলের হোক আর বাইরের হোক দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পাবে না। যারা বিতর্কিত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চলমান আছে। যাদের নামে নেতিবাচক খবর প্রকাশ হচ্ছে তারা কেউ দলে থাকতে পারবে না।
অভিযান চলতেই থাকবে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোক এবং ভালো মানুষ সংগঠন করবে। চলমান ‘শুদ্ধি অভিযান’র প্রেক্ষাপটে যুবলীগ নেতাকর্মীদের সতর্কবার্তাও দেন তিনি।
রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মানুষকে সমবেত করার পেছনে উদ্দেশ্য কী?
আবার পুলিশের ওপর আক্রমণ হল। অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ফেসবুকে নানা ধরনের অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। এরা কারা, এদের উদ্দেশ্য কি। প্রধানমন্ত্রী এ অবস্থায় দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে।
সবাই জানেন, দেশটা একটু ভালোভাবে চলছে, অগ্রগতি হচ্ছে। একটা শ্রেণি আছে, যারা এমন সময় নানাভাবে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। কাজেই এটা যেন তারা না করতে পারে, আমি এজন্য সাধারণ মানুষের কাছে সহযোগিতা চাই।
যারা এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্য হল আইডিটা হ্যাক হল আর তারপর এ ধরনের ঘটনা ঘটাল, আর সেটাকে কেন্দ্র করে কারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে সমবেত হল, আর পুলিশের ওপর আক্রমণ করল।
বৈঠকের শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সব সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। এ জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা কমিটির সঙ্গেই আমি বসব।
সবার সঙ্গেই আমি আলোচনা করব। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগের ডেট ইতিমধ্যে দেয়া হয়েছে। তাদের সবার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে সম্মেলন হলে সংগঠন চাঙ্গা হয়, সংগঠনের গতি বাড়ে এবং সংগঠন এগিয়ে যেতে পারে। আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো আরও সুসংগঠিত হোক সেটাই আমরা চাই।
তিনি বলেন, আমরা আটটি বিভাগীয় কমিটি করে দিয়েছি। এসব বিভাগীয় কমিটি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বর্ধিত সভা করছে। নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। তৃণমূল পর্যায় থেকে আওয়ামী লীগের সব কমিটির ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিটি জেলায় অফিস করে, ডাটাবেজ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেন আমাদের সংযোগটা হয় সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এ জন্য একটি টিম আওয়ামী লীগ অফিসে কাজ করছে।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
মিডিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে এমন বিষয় সব সময় ধারাবাহিকভাবে প্রচার করবেন না। বরং যারা সত্যিকার অপরাধী তাদের দেখান।
কেন এভাবে আরেকজনের আইডি চুরি করবে, তাকে শেষ করে তার কাছে চাঁদা চাইবে, টাকা দিতে না পারলে মিথ্যা অপপ্রচার চালাবে, আর সেটাও চালাবে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে বা মহানবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে।
এ অপরাধীদেরই শনাক্ত করা দরকার এবং তাদের জাতির সামনে তুলে ধরা দরকার। আমি এটুকুই বলব, এ ধরনের নানা চক্রান্ত আমার বিরুদ্ধে সব সময় হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল যেমন মানুষ ভোগ করছে, সে রকম এর কুফলও ভোগ করছে। সাবধান থাকতে হবে কেউ যেন বিপদে ফেলতে না পারে।
বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যার যার ধর্ম তার তার কাছে।
সব ধর্মের মানুষ এ দেশে বাস করবে। সেভাবেই আমরা দেশটাকে গড়ে তুলতে চাই।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঘটনা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে একটি হিন্দু ছেলের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে তার নাম দিয়ে কতগুলো মিথ্যাচার করা হয়েছে। যার ফেসবুক হ্যাক করা হয়েছে তাকে ফোন দিয়ে বিশ হাজার টাকা চাওয়া হয়।
টাকা না দিলে তার ফেসবুক আইডিতে এমন সব কথা লিখবে সেটা তার জন্য ক্ষতি হবে। এ কথাটা পাওয়ার পরপরই ওই হিন্দু ছেলে পুলিশ স্টেশনে গেছে। সে সেখানে একটা জিডিও করেছে। সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোনটা যে করেছিল তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। আইডি হ্যাক করে একজন মুসলমান হয়ে কীভাবে নবী করিম (সা.)-কে নিয়ে এ ধরনের বাজে কথা লেখে? এবং আরেকজনকে জড়ানোর চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, কেউ যদি সত্যিকার ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে। যদি তাদের নবী করিম (সা.)-এর প্রতি এতটুকু সম্মান থাকে তাহলে আরেকজনের ক্ষতি করার জন্য এ ধরনের জঘন্য কথাটা কীভাবে লেখে? এটাও আমার একটা প্রশ্ন।
শেখ হাসিনা বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য এসব ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। যখনই দেখা যায় দেশটা একটু ভালোভাবে চলছে, অগ্রগতি হচ্ছে।
তখনই একটা শ্রেণি আছে নানাভাবে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। এটা যেন কোনোভাবে করতে না পারে সেজন্য আমি সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, কেউ যদি আমাদের নবী করিম (সা.)-এর বিরুদ্ধে কিছু লিখে থাকে নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যের ক্ষতি করার জন্য যারা এ ধরনের কথা লিখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখব।
এক্ষেত্রে অপরাধীর ক্ষমা নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। কারণ আমরা যখন দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই স্বাভাবিকভাবেই কিছু মানুষের ভেতরে একটা লোভ সৃষ্টি হয়।
যার ফলাফল আমাদের সমাজটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। কাজেই এ ধরনের অন্যায়-অবিচার বরদাশত করা হবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সবাই ভালো থাকুক, সচ্ছল থাকুক। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হোক সেটা আমরা চাই। কিন্তু অন্যায়ভাবে যদি কেউ কিছু করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এটা একান্তভাবে প্রয়োজন।
কারণ যখন একটা পরিবর্তন আসে তখন দেখা যায় কিছু মানুষ হঠাৎ রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। কিছু মানুষ গরিব থেকে যায়।
এ আয় বৈষম্যটা যেন না থাকে সেদিকে দৃষ্টি রেখে আমরা একেবারে গ্রামের মানুষেরও যেন আয় বৃদ্ধি পায়, তারাও যেন সচ্ছলভাবে থাকে, তারাও যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সে উদ্যোগ নিচ্ছি।
অর্থাৎ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির সেবা করতে যুবলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তিনি যুবলীগ নেতাকর্মীদের জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা জাতির পিতার বিরুদ্ধে যেসব প্রতিবেদন করত, সেগুলো পড়ার পরামর্শও দেন।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সভাপতি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আগামী জাতীয় কংগ্রেস নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
আহ্বায়ক কমিটি আগামী সম্মেলন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের অব্যাহতি দেয়ার জন্য নেত্রীর নির্দেশ রয়েছে। তাহলে কী চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, তা হয়নি।
তবে চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে কে এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, এখন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সব করবে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের সমালোচনা করেন শহীদ সেরনিয়াবাত। তিনি বলেন, যুবলীগের জি কে শামীমের পদ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদককে বলেছি স্বাক্ষর না করতে। তিনি সেটি করলেন। তিনি এটি কেন করেছেন আমার বোধগম্য নয়।
আমির হোসেন গাজী তার বক্তব্যে বলেন- আপা, সারা দেশে যুবলীগের বদনাম হয়েছে। আমরা যারা যুবলীগ করি শুনতে খুব কষ্ট লাগে।
বৈঠকে যুবলীগ চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে কাউকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া প্রসঙ্গ উঠলে শেখ হাসিনা বলেন, এখন আর কাউকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার দরকার নেই।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কই কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করবে। যুবলীগের বিতর্কিতদের যেন কোনো কাজে সম্পৃক্ত করা না হয়। আনোয়ারুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সভাপতিকে স্মরণ করিয়ে দেন, যুবলীগের দফতর সম্পাদক বহিষ্কৃত।
তখন শেখ হাসিনা বলেন, দফতর সম্পাদক দরকার নেই। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিই কাজ চালিয়ে নেবে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নানা অপকর্মের বিষয় তুলে ধরা হয়। সাভার ও আশুলিয়ায় কমিটিতে অর্থের বিনিময়ে অন্য দলের নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ার বিষয়টি তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমি সব জানি। তোমরা সবাই দায়ী। এসব কথা তোমরা আগে বলনি কেন? এখন আমি জানার পরে যখন ব্যবস্থা নিচ্ছি, সবাইকে ধরছি, তখন আর তোমাদের এসব কথা বলার দরকার নেই।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন গত ৭ বছর এ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেউ কথা বলেনি।
গণভবনে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞায় চেয়ারম্যানসহ চারজন : শেষ পর্যন্ত গণভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকল যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের।
এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ এবং শেখ আতিয়ার রহমান দীপু। যুবলীগের পাঠানো তালিকায় তাদের নাম থাকলেও ঢুকতে পারেননি গণভবনে।
এটাকে গণভবন কর্তৃপক্ষের একান্ত এখতিয়ার হিসেবে দেখছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। অবশেষে তাদের বাদ দিয়েই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসতে হয় যুবলীগের অন্য নেতাদের।
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় যুবলীগের কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সহ-সভাপতি আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, সমবায় সম্পাদক জি কে শামীম, উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজীব প্রমুখ গ্রেফতার হন।
এদের যুবলীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়। ক্যাসিনো ব্যবসা এবং এর সঙ্গে জড়িতদের মদদ দেয়ার অভিযোগ ওঠে যুবলীগ চেয়ারম্যান, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং যুবলীগের সাবেক এক সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে যুবলীগ চেয়ারম্যানকে ছাড়াই এর আগে বৈঠক করে সংগঠনটি। ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের প্রস্তুতি ও করণীয় নিয়ে যুবলীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রার্থনা করলে আজ দেখা করার সময় দেন তিনি। সে প্রেক্ষাপটেই যুবলীগ নেতারা আজ গণভবনে যাচ্ছেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন, শহিদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, চয়ন ইসলাম, ড. আহম্মেদ আল কবির, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, শাহজাহান ভূঁইয়া মাখন, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান হোসেন খান, এসএম জাহিদ, আমির হোসেন গাজী, মুহা. বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, আবু আহম্মেদ নাসিম পাভেল, আসাদুল হক, আজহার উদ্দিন, ফারুক হাসান তুহিন।